Thursday, December 10, 2015


মামলা থেকে মুক্তি?




আপাতত বোধ হয় জেলে যেতে হচ্ছে না বলিউডের অভিনেতা সালমান খানকে। মামলা ঝক্কি থেকেও সম্ভবত মুক্তি পাওয়ার পথে তিনি। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের উচ্চ আদালত বলেছেন, সালমানই যে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বা তিনি যে নেশাগ্রস্ত ছিলেন, তার কোনো প্রমাণ মেলে​নি। আদালত জানিয়েছেন, বিভিন্ন সাক্ষীর পাশাপাশি, পুলিশ যে তথ্য প্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট হয়নি যে, সালমান খানই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এই বলিউড তারকার দেহরক্ষী হিসেবে যে পুলিশ কর্মী ছিলেন, সেই রবীন্দ্র পাতিলের বক্তব্যকেও ‘পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির হাইকোর্ট।
এর আগে এই মামলায় সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের দায়রা আদালত। সে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সালমান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট দায়রা আদালতের রায়ের দিনই সাজা স্থগিত রেখে সালমানের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। এদিন রায় লেখার সময় বিচারপতি এ আর যোশীর মন্তব্য নিঃসন্দেহে সাম্প্রতিক সময়ে সালমানের কাছে বড় সুখবর বটে।
উল্লেখ্য, দেহরক্ষী রবীন্দ্র পাতিল দুর্ঘটনার রাতে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। ওই এফআইআরে সালমান নেশাগ্রস্ত ছিলেন কিনা, তা উল্লেখ করেননি তিনি। ১ অক্টোবর সালমানের রক্ত পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া বয়ানে পাতিল জানান, সালমান মদ্যপান করেছিলেন এবং তিনি (পাতিল) এই অভিনেতাকে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু এদিন বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, পাতিলের সাক্ষ্য সন্দেহজনক। কারণ, এফআইআর দায়েরের পরে বয়ান রেকর্ডের সময় সালমানের মদ্যপানের কথা বলেছিলেন পাতিল। তাই সাক্ষী হিসেবে পাতিল পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেই বিচারপতি মন্তব্য করেছেন।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে বেন বার থেকে মুম্বাইতে নিজের ফ্ল্যাটের কাছে আমেরিকান এক্সপ্রেস বেকারির সামনের ফুটপাথে উঠে গিয়েছিল সালমান খানের গাড়ি। সেই গাড়ি চাপায় একজনের মৃত্যু হয়, জখম হয়েছিলেন আরও ৪ জন। এ মামলায় বেন বারের ম্যানেজার বয়ান দিয়েছেন যে, সালমান, কামাল খান ও সোহেল খান যে টেবিলে বসেছিলেন, সেই টেবিলে মদ পরিবেশন করা হয়েছিল। সালমানের হাতে ছিল সাদা রঙের পানীয়ের গ্লাস। পুলিশ প্রমাণ হিসেবে ওই টেবিলের বিলও জমা দিয়েছে। কিন্তু বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, শুধু বিল আর এই বয়ানে প্রমাণিত হয় না যে, সালমান খান মাতাল ছিলেন। এই প্রমাণ যথেষ্ট নয়।
এদিকে, হোটেলের পার্কিং ম্যানেজার কল্পেশ বর্মা জানিয়েছেন, হোটেল থেকে বেরিয়ে সালমান গাড়ির চালকের আসনে বসেছিলেন। সালমান বকশিস যে দেন, তা বাক্সে রাখার জন্য পেছন দিয়ে ঘোরেন কল্পেশ। কল্পেশের দাবি, সামনে ঘুরে দেখেন, সালমানের গাড়ি বেরিয়ে গিয়েছে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই বয়ান থেকে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় না যে, গাড়ি সালমানই চালাচ্ছিলেন। এনডিটিভি। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

No comments:

Post a Comment